টানা ৭ মাস ধরে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী ওই মেয়েটি পুলিশকে জানায়, যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই অবশেষে মুখ খুলেছে সে। ওই ছাত্রী বলেন, হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, দিনের পর দিন তাকে যৌন নির্যাতন করেছে তারই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরও দুই শিক্ষক ও ১৫ জন ছাত্র।
ভারতের বিহারের ছাপরা জেলার পারসগড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ কাছে দেয়া জবানন্দিতে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী জানিয়েছে, তার উপর প্রথম অত্যাচার শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। তখন তার বাবা ছিল না। কোনো একটি কারণে তার বাবা জেলে যায়। আর এই সুযোগে অভিযুক্তরা এমন কু-কাজ করতে শুরু করে।
নির্যাতিতা মেয়েটির জানায়, প্রথমে স্কুলেই তার উপরে অত্যাচার চালায় স্কুলের একজন সিনিয়র ছাত্র। পরে, তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও চার থেকে পাঁচ জন ছাত্র। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা ১৫ জনে পৌঁছে যায়। এখানেই শেষ নয়, ছাত্রীটি জানায়, একই ভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আরও দুই শিক্ষকের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হতে হয় তাকে। এদের প্রত্যেকেই তাকে ভয় দেখিয়ে রাখত। হুমকি দিতো এনিয়ে মুখ খুললেই প্রাণে মেরে ফেলার।
ওই ছাত্রী আরো বলেন, কার্যত ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিল সে। এমন সময় জেলের সাজা শেষ করে কয়েকদিন আগেই মুক্তি পায় তার বাবা। বাবা বাড়ি আসলে তাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে ওই মেয়েটি।
নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে পারেনি সে। তিনি শুক্রবার (৬ জুলাই) মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় একমা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং অভিযোগ দায়ের করেন। বয়ানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরও দুই শিক্ষক সহ মোট ১৮ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী।
এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বলেন,, এমন ভয়াবহ ঘটনার অভিযোগ আসায় প্রথমে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে সাথে সাথেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এরিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরও এক শিক্ষক ও দু’জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ ।পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।নির্যাতিতা মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট এখনো আসেনি তাহলে ঘটনার আসল তথ্য জানা জাবে।